সম্পূর্ন ব্রয়লার ব্যাবস্থাপনা (পর্ব-১)
ব্রয়লার আর সাধারণ পাঁচটা মরগির মতো। তবে খুবই উচু জাতের যাদের সৃষ্টি করা হয়েছে প্রচন্ড নির্বাচন এবং বংশগতি ধারার বিশেষ ক্রম অনুসারে।
(১) একদিনের বাচ্চার ওজন হবে ৩৬ থেকে ৪৫ গ্রাম। বেশি হলে আরও ভাল। দেখা গেছে এদিনের বাচ্চার দেহের ওজন যদি ভাল হয় তবে বেচার সময় ব্রয়লার মুরগির ওজন ভালই দাড়াবে।
(২) বংশগতি ধারার ভাল ক্রিয়াকর্মঃ যদি ভাল বংশগতি ধারার মুরগির বাচ্চা না হয় তবে ব্যবসায় খুব এটা সুবিধা হবে না।
(৩) সুষম খাদ্য খুব উচ্চমানের হওয়া চাই। অর্থাৎ খাওয়ার অনুপাতে দেহে যেন মাংস লাগে। খুব তাড়াতাড়ি বাড়ার জন্য ব্রয়লারের দরকার একই সঙ্গে উচ্চু পর্যায়ে আমিষ এবং শক্তি বা বেশি তাপ দিতে পারে এমন খাবার।
(৪) আমিষ বিশেষ করে অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলির মধ্যে লাইসিন এবং মেথিও নাইন খবুই গুরুত্বপূর্ণ । কারণ এরা মুরগির বাড়ের জন্য সাহায্য করে। খাবারকে মাংসে পরিনত করে। ফলে ব্রয়লার ব্যবসায়ে পয়সা আসে।
(৫) ব্রয়লার মুরগির খাবারে মোটা আশের শতকরা হার ৬ এর বেশি কখনোই হবে না।
(৬) ভিটামিন A, B2, D3, B12 এবং K ভীষন প্রয়োজনীয়।
(৭) পটাসিয়াম, আয়োডিন, ম্যাঙ্গানিজ সালফেট এবং জিঙ্ক কার্বনেট পৃথকভাবে ভাল করে মিশিয়ে মুরগিকে খাওয়ানো উচিত।
(৮) ব্রয়লার মুরগির খাবারে এন্টিবায়োটিক নামমাত্র পরিমাণে মেশানো উচিত। লাভটা এই হবে বাচ্চা মুরগির দেহে সুপ্তভাবে যদি কোন রোগ থেকে থাকে তবে এই এন্টিবায়োটিক খাওয়াবার দরুন মুরগির দেহে চট করে রোগাক্রমণ ঘটবে না।
ব্রয়লার মুরগি থেকে ভাল লাভ করতে হলে খামারীদের যা করনীয়
ব্রয়লার মুরগি খামারে এলো আর গেল নীতি মানাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। খামারে একই বয়সের মুরগি থাকবে। এবং এ বয়সী মুরগি থেকে অপর বয়সী মুরগিদের মধ্যে রোগ ছড়াতে পারবে না। খামার ঘর পূর্ব পশ্চিম দিক করে হবে। বায়ু চলাচল ব্যবস্থা থাকা দরকার। মুরগির ঘরগুলির পরস্পর দূরত্ব হবে ১১-১২ মিটার (৩৫-৪০ ফুট)।
বিস্তারিত দেখতে নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন।
পোল্ট্রি চ্যানেল ভাল লাগলে Subscribe করে রাখেন।
Post a Comment