goat farming । বেকার সমস্যা ও দারিদ্র্য হ্রাস অর্জনের ক্ষেত্রে ছাগল পালন করুন।



ছাগল বাংলাদেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ পশুসম্পদ। ছাগল আমাদের দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। বাংলাদেশে বেকার সমস্যা দারিদ্র্য হ্রাস মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে ছাগল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উল্লেখ্য যে এদেশের মোট প্রায় আড়াই কোটি ছাগলের অধিকাংশই ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের।



ছাগল পালনের সুবিধাদিঃ 


১. 
ছোট প্রাণীর খোরাক তুলনামূলকভাবে অনেক কম, পালনের জন্য অল্প জায়গা লাগে এবং মূলধনও সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের মধ্যে থাকে।
২. 
গবাদিপশুর তুলনায় ছাগলের রোগবালাই কম।
৩. 
তুলনামূলক কম সময়ে অধিক সংখ্যক বাচ্চা পাওয়া যায়। বছরে দুইবার বাচ্চা প্রসব করে এবং প্রতিবারে গড়ে - টি বাচ্চা হয়ে থাকে।
৪. 
দেশে বিদেশে ব্ল্যাক ছাগলের চামড়া, মাংস দুধের বিপুল চাহিদা আছে।
৫. 
ছাগলের দুধ যক্ষ্মা হাঁপানি রোগ প্রতিরোধক হিসাবে জনশ্রুতি রয়েছে এবং এজন্য এদের দুধের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।
৬. 
ছাগল ভূমিহীন ক্ষুদ্র মাঝারী চাষীদের অতিরিক্ত আয়ের উৎস হিসাবে বিবেচিত হয়।


ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল

ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের বৈশিষ্ট্যঃ 

ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের বক্ষস্থল চওড়া, কান কিছুটা উপরের দিকে শিং ছোট থেকে মাঝারী আকৃতির হয়ে থাকে। দেহের গড়ন আটসাট পা অপেক্ষাকৃত খাটো এবং লোম মসৃন হয়।




ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনের সুবিধাঃ 

সাধারণতঃ ১২-১৫ মাস বয়সে প্রথম বাচ্চা দেয়। একটি ছাগী বছরে দুইবার বাচ্চা প্রসব করলেও উপযুক্ত ব্যবস্থাপনায় ছাগী - টি পর্যন্ত বাচ্চা পাওয়া যেতে পারে। ২০ কেজি দৈহিক ওজন সম্পন্ন একটি ছাসী থেকে কমপক্ষে ১১ কেজি খাওয়ার যোগ্য মাংস এবং .-. কেজি ওজনের অতি উন্নতমানের চামড়া পাওয়া যায়। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের চামড়া একটি অতি মূল্যবান উপজাত। দেখা গেছে, সেমি-ইন্টেনসিভ পদ্ধতিতে ২৫টি ছাগীর খামার থেকে ১ম বছরে ৫০,০০০ টাকা, ২য় বছরে ৭৫,৩৩৭ এবং ৩য় বছরে ,০২,৬০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব 
(সূত্রঃ ছাগল পালন ম্যানুয়েল)
  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Post a Comment